আপনারা যারা বর্ষাকাল সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি খুজতেছেন তারা সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের কাল রয়েছে। এবং আপনার হয়তো সকলে জানেন যে বাংলাদেশের কাল ছয়টি। তার মধ্যে একটি কাল হলো বর্ষাকাল। যা কিনা আসার এবং শ্রাবণ মাসে 2 মাস টা নিয়ে এই কালটি শুরু হয়। তাই সম্পর্কে হাজারো মানুষের কৌতুহল আছে জানার জন্য। তাই আপনাদের জন্য কিছু তথ্য নিশি দিয়ে দিলাম।
বর্ষাকালের মাসটা অনেক সুন্দর এবং মধুময় মাস। যেখানে কিনা হাজারো লোকজন বিভিন্ন ধরনের তাদের পেশাটাকে নির্বাচন করতে পারে। এবং বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির প্লাবনের ফলে সারা জমি মাঠঘাট পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। যাতে করে সমস্ত লোকজন তাদের রোজির ব্যবস্থা করতে পারে। এবং সেই সাথে সমস্ত লোকজন তাদের অবস্থানটাকে ভালোভাবে করতে পারে এবং অনেকে আছে তাদের জীবনটা বর্ষার কারণে শেষ হয়ে যায়। তাই আপনাদের জন্য বর্ষাকাল সম্পর্কিত কিছু উক্তি স্ট্যাটাসে বাণীর নিচে প্রেস করে দিলাম।
বর্ষাকাল নিয়ে উক্তি
বাংলাদেশের ঋতু হলো ছয়টি। তার মধ্যে বর্ষাকাল হলো অন্যতম একটি ঋতু। বর্ষাকাল সম্পর্কে মানুষের অনেক রকমের ধারণা রয়েছে। তাই যারা যারা এ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানতে চান তাদের জীবনে। এবং কি তার জ্ঞানকে আরো মজবুত করতে চান। সে সম্পর্কে আমরা কিছু উক্তি নিচে দিয়ে দেবো। যাতে করে দেখে আপনারা এ সম্পর্কে কিছু তথ্য বুঝতে পারেন।
- কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল -ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
– কাজী নজরুল ইসলাম - মেঘের গানে বাজে বাতাসের মান্দতা, স্নিগ্ধ পুতুলের মত চলে ভাসে মাটিতে হাতা। সন্ধ্যা তারার আলোয় বিহঙ্গ আড়িয়ে যায়, হৃদয়ে আনন্দে ভরে প্রাণে মধুর প্রণয়।
- ভরে যায় পৃথিবী রঙিন ফুলের গুচ্ছ, হাওয়ায় পড়ে ঝরা পাতার সময়ে মুক্তির সুচ্ছ। বর্ষাকালে পূর্ণিমার আলো মুছে যায় ছয়া, সূর্যের উদয় নিয়ে স্বপ্ন জ্বলে জাগা।
- বর্ষার আগমনে পূর্ণিমার রাতে আঁধার, চোখে ভরে তার মাঝে অতীতের স্মৃতি আঁকার। মনে হাঁসির বাতাসে কবিতার সুর গায়, বর্ষার সুখের মেলা হয় হৃদয়ে মাঝে ছায়।
- বৃষ্টির ছন্দে ভরে যায় মনের রঙে, পৃথিবী জাগে সুপ্রভাতের সুরঙ্গে। শীতের মাঝে ক্ষুদ্রতার দিকে চলে, বর্ষাকালের সঙ্গে ভালোবাসা উজ্জ্বল।
বর্ষাকাল নিয়ে স্ট্যাটাস
সবচেয়ে ভয়াবহ এবং কি দুর্যোগময় ঋতু হলো এই বর্ষাকাল। কেননা বর্ষাকালে বাড়ি আনা যেখানে যে সকল জায়গায় পানি সমাগম দেখা দেয়। মানুষের বেঁচে থাকার অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। পশুপাখি গরু ছাগলের থাকার বাসস্থান ও ধ্বংস হয়ে যায়। এ সম্পর্কে আগে থেকে হুঁশিয়ারি হওয়ার জন্য আমরা কিছু স্ট্যাটাস আপনাদেরকে দিয়ে দিব। যাতে করে আপনারা দেখে আগে থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
- সে দেশে যবে বাদল ঝরে কাঁদে না কি প্রাণ একেলা ঘরে, বিরহ ব্যথা নাহি কি সেথা বাজে না বাঁশি নদীর তীরে।।
– কাজী নজরুল ইসলাম - বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করবো – মূর্খরা এভাবেই চিন্তা করে। শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়ে যাবে।
– গৌতম বুদ্ধ - মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে, একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে-শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা-হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শুণ্যতায় কি বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবেছি।
– হুমায়ূন আহমেদ - খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
– কাজী নজরুল ইসলাম - চপল বিদ্যুতে হেরি’ সে চপলার ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার, নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
– কাজী নজরুল ইসলাম
আরও পড়ুনঃ
বর্ষাকাল নিয়ে বাণী
কিছু কিছু মূল্যবান ব্যক্তি রয়েছে যারা বর্ষাকাল সম্পর্কে অনেক রকমের বাণী তুলে ধরে গিয়েছেন। যে বর্ষাকাল নিয়ে অনেক রকমের সুবিধা এবং কি অসুবিধা রয়েছে। যদি বর্ষা না আসতো তাহলে আমরা কখনো নিজেরা মাছ ধরে খেতে পারতাম না। আবার বর্ষাকালের জন্য মানুষের অনেক ক্ষতিও হয়ে থাকে। তাই এই কালকে সবদিক থেকে খেয়াল করে অনেক রকমের বাণী রয়েছে। সে সম্পর্কে আমরা কিছু তথ্য দেখে নেব আমাদের এই পোস্ট থেকে।
- চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
– ক্ষণা - কাগজ আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ প্রেমের কবিতা লিখে রেখেছে আকাশে। সেই ভালোবাসার কবিতা এই বৃষ্টি, এই ভরা বর্ষা
– মহাদেব সাহা - হে বর্ষা, এত বেশী ঝরোনা যে আমার প্রেয়সী আমার কাছে আসতে না পারে। ও এসে যাওয়ার পর এত মুষলধারায় ঝরো যেন ও যেতেই না পারে।
– সংগৃহীত - যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়
– হুমায়ূন আহমেদ - তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বর্ষাকাল নিয়ে কবিতা
আপনারা যারা বর্ষাকালকে ঘিরে কিছু শান্ত ময় কবিতা খুজতেছেন তাদের জন্য নিচে একটি কবিতা উপস্থাপন করে দিলাম। যাতে করে আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে এই কবিতাটি পেশ করতে পারেন। এবং আপনার প্রোফাইল দেখে অনেক সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে পারেন বর্ষা ঋতুতে। আশা করছি আপনাদের কবিতাটি অনেক ভালো লাগবে।
সোনার তরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা–
এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু-ধারে–
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।
যত চাও তত লও তরণী-‘পরে।
আর আছে?– আর নাই, দিয়েছি ভরে।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে–
এখন আমারে লহ করুণা করে।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই– ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি–
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
পরিশেষে
আপনাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলে যাই যে বর্ষাকাল যেরকম মানুষের ক্ষতি করে ঠিক সেম টু সেম মানুষদের উপকারও আসে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং অনেক লোকজনের আয় রোজগার হয়ে থাকে। তো আশা করছি সকল প্রার্থীকে দুর্যোগ সবসময় আসবে এবং এগুলো আমাদেরকে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এবং আমাদের দল উক্তিগুলো আপনারা কালের করে বিভিন্ন মাধ্যমে পেশ করতে পারবেন আশা করছি।