বর্তমানে আপনারা জারা রোগ নিয়ে সেরা উক্তি খুজতেছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। রোগ মানবজাতির জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ। এটি স্বাভাবিকভাবে জীবনে সম্পর্কিত সমস্যা ও পীড়ার কারণ হলেও এর বিপদ করে যায় অনেক ক্ষেত্রে। রোগ মানবজাতির সবচেয়ে বড় শত্রুর মতো এবং নিয়ন্ত্রণে বিপন্ন করে দেওয়ার পরেও নিঃশেষে এখনো মানুষের জীবনধারার অপরিবর্তিত অংশ রয়েছে। এই নিয়ন্ত্রণকরণের পরেও রোগ মানুষের শরীরের নির্দিষ্ট অংশগুলি আক্রমণ করে এবং পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্পন্ন জীবন বাধা দেয়।
রোগের কারণ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। কিছু রোগ উৎপাদন হয় ভেজালের মাধ্যমে, কিছু রোগ এড়াতে হয় পুষ্টিকর খাবার সাপেক্ষে, আর কিছু রোগ হয় এইচআইভি বা উষ্ণতা সহ্যক্রমে শরীরের অংশের সম্পর্কে। প্রায়শই বিশেষভাবে সুরক্ষারত অঞ্চলেও রোগের আক্রমণ ঘটে থাকে। সাধারণত এই বিষয়ে জনসংখ্যা বেশী, বন্দুকবাজি, ধূমপান বা মাদকদ্রব্য ব্যবহারে বাধা হতে পারে না। আর এছাড়াও পরিবেশের দূষণ, পরিত্যাক্ত জনসংখ্যা, খাদ্যের অভাব এবং পর্যবেক্ষণশীলতার অভাবও রোগের উৎপাদনে পদক্ষেপ হতে পারে।
রোগ নিয়ে উক্তি
এখনকার সময়ে রোগ প্রতিরোধ বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু প্রধান উপায় আছে। প্রথম তাত্পর্য হচ্ছে নিজেকে পরিষ্কার ও সুস্থ রাখা। মেধা, আচরণ এবং খাবারের ভারপ্রাপ্ত পরিমাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে শরীরের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিচে রোগ নিয়ে উক্তি দেওয়া হল।
- দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ বন্ধন এবং বিপদ। সবকিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধ রূপ বৃক্ষের ফল।
– চাণক্য - দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মতো তেলের অভাবে দুঃখ পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
– হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) - সংসারে অভ্যন্তরীন অসুস্থতা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, অসুস্থতা এড়াবার ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়
– বারট্রান্ড রাসেল - স্বাস্থ্যবান দেহ আত্নার জন্য প্রিয় অতিথিশালা স্বরূপ আর রোগাক্রান্ত দেহ আত্নার জন্য বদ্ধ কারাগার স্বরূপ।
– বেকন - অসুস্থ হতে অস্বীকার করো? নিজের কাছে বা কারো কাছে কখনো বলো না তুমি অসুস্থ। অসুস্থতা এমন জিনিস যার শুরুতেই প্রত্যকের বাঁধা প্রদান করা উচিৎ ।
– বুলার স্টিন।
রোগ নিয়ে স্ট্যাটাস
এটির আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হল পুষ্টিকর ও সঠিক খাবার গ্রহণ করা। প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর তেল-ঘি সঠিক পরিমাণে থাকা উচিত। পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়া দরকার এবং সাবান ব্যবহারে নিরাপদ থাকা উচিত। বাসায় পরিষ্কারভাবে রাখা যেতে পারে এমন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে রোগের আক্রমণ কমে যায়। রোগ নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস নিচে উপস্থাপন করা হলো।
- অসুস্থতা ঘোড়ায় চড়ে আসে কিন্তু রওয়ানা দেয় পায়ে হেঁটে।
– প্রবাদ বাক্য - হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷
– বেদ - সৎ কর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ ও মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপরে বিজয়ী করে৷
– বেদ - পাঁচটি সেরা বিপদের পূর্ববর্তী পাঁচটি সতর্কতা।যথা- বার্ধ্যেকের দৌর্বল্যের পূর্বে যৌবনের, রোগের পূর্বে স্বাস্থ্যের, দারিদ্র্যের পূর্বে ধন সম্পদের, কাজের পূর্বে অবসর সময়ের,এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনের যথারীতি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা ও সদ্ব্যবহার করা।
– আল হাদীস - সংসারে সেরা লোকেরাই কুঁড়ে এবং বেকার লেকেরাই ধন্য। উভয়রে সম্মিলন হলেই মণী কাঞ্চন যোগ। এই কুঁড়ে বেকারে মিলনের জন্যই সন্ধ্যা বেলার সৃষ্টি হয়েছে । রোগীদের জন্য সকাল বেলা৷ রোগীদের জন্য রাত্রি। কাজের লোকদের জন্য দশটা – চারটা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রোগ নিয়ে বাণী
রোগ প্রতিরোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করা। বিশেষত বাংলাদেশে বহুপ্রকার প্রাকৃতিক পদার্থ আছে যা রোগের প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। তেল, সবজি, ফল, মসলা, মেথি, গোলাপ পানি, নেবুর রস ইত্যাদি প্রাকৃতিক পদার্থ ব্যবহার করে আমরা নিজেকে রোগের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করতে পারি। নিচে এ সম্পর্কে কিছু বাণী উপস্থাপন করা হলো।
- যে কেউ রোগাক্রান্ত হয়, তার থেকে গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে যায় যেভাবে গাছ হতে তার পাতাগুলো ঝরে যায় ।
— সহিহ বুখারী (৫৬৪৭) - যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়।
– জুভেনাল - প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, বেশীর ভাগ রোগ থেকে বেঁচে যাবেন ।
— হাবিবুর রাহমান সোহেল - অসুস্থতার জন্য মানুষ সবচেয়ে বিস্ময়কর আচরণ করতে পারে৷
– সুসান মিনোট - বিশ্রাম নেওয়া কখনোই আলস্য নয়৷ বিশ্রাম হলো অসুস্থতার উপযুক্ত ঔষধ ।
– গ্লেন শোয়েইজার
পরিশেষে
সর্বশেষে রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টিকা নেওয়া। বিশেষত প্রজননক্ষম ব্যক্তিদের, বয়স্কদের, শিশুদের এবং সহজস্থানে রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব ব্যক্তিদের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এবং সক্রিয় মহামারির প্রতিরোধ করা যায়। বৃহত্তর সামাজিক পরিবেশে প্রতিদিনের জীবন আমরা রোগের জন্য বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে থাকি। সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা এই ঝুঁকিগুলি কমিয়ে নিজেকে এবং আমাদের আশেপাশের মানুষকে রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।